বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, তারা আশা করছেন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সব প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ‘অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামী নির্বাচন আরও ভালো হবে। এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। এটা আমার দৃঢ় আশা।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি জানেন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ সরকারও বলছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
একইসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি এমন একটি বিষয় যা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। কিন্তু প্রত্যাশা হলো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহন করবে। নির্বাচনটি অংশগ্রহনমূলক হবে।
নাওকি বলেছেন যে তিনি ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ করার ঘটনা সম্পর্কে শুনেছেন এবং আগের রাতে কিছু পুলিশ ব্যালট বাক্সে ভর্তি করে দিয়েছে যা তিনি অন্য কোন দেশে কখনও শোনেননি।
তিনি বলেন, ‘ব্যালট বাক্সে ভরাট করার’ পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়।
২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ঢাকায় জাপানি দূতাবাস একটি বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যা তার দেশের জন্য খুবই অস্বাভাবিক ছিল। যদিও সেটিতে সহিংসতার বিষয়টিতে বেশি দৃষ্টি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।