বাংলাদেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে তার বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স দ্বারা বিচার থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সেই জামানা আর নেই। এখনকার জামানা ভিন্ন। এখন বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর রেলস্টেশন চত্বরে উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হিলারি ক্লিনটনের প্রতি ইঙ্গিত করে আনিসুল হক বলেন, একজন দুইবার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। যার নির্বাচনে ড. ইউনূস টাকা দিয়েছিলেন। উনি এখন ড. ইউনূসকে বাঁচানোর সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলছেন। এটা কিসের সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষের সাথে সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষ বিচার চায় এটা কি অন্যায়? আমাদেরকে এটা অপমান করার শামিল।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা সুষ্ঠু বিচার করতে জানি। ড. ইউনূস যদি অন্যায় না করে থাকেন তাহলে তিনি খালাস পাবেন। আর যদি অনুচিত হয়, বিজ্ঞ বিচারক বিচার করবেন। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন। কোন উছিলায় বাংলাদেশকে অপমান করবেন, বিচার বিভাগকে অপমান করবেন সেই চেষ্টা বন্ধ করুন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে টিআইবির মন্তব্য সম্পর্কে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, টিআইবি যা বলেছে এর কোনটাই সত্য নয়। সাংবাদিকরা এবং জনগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পাশে সাইবার নিরাপত্তা আইন রেখে পড়লে তারা বুঝতে পারবে কতটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং যেখানে উনাদের (টিআইবি) আপত্তি ছিল সেগুলো দূর করা হয়েছে।
নির্বাচনে খরচ করার জন্য সরকার সার্বজনীন পেনশন স্কিম করেছে- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, মাথায় ঘিলু থাকলে কেউ এ কথা বলে?
উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওছার জীবন, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া স্বপন প্রমুখ।
এর আগে আইনমন্ত্রী আখাউড়া-সিঙ্গারবিল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের মেরামত কাজের উদ্বোধন করেন।