পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করি। এটা আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। সুতরাং আমরা আপনাদের (চীনকে) ‘টাইম টু টাইম’ সাপোর্ট দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এ সময় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে ছিন গ্যাংকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন আব্দুল মোমেন। পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে চীনের সহযোগিতার বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় অর্থ সহায়তার বেশ কিছু চুক্তি সই হয়েছিল। কিন্তু সবগুলোর এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। সেই বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন আব্দুল মোমেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাং। জবাবে আব্দুল মোমেন তাকে আরও বেশি সময়ের জন্য বাংলাদেশ সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন।
বেইজিং থেকে আফ্রিকায় সফরে যাওয়ার পথে ফ্লাইটের জ্বালানি নিতে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৫৮মিনিটে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান মোমেন। এ সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারা বৈঠক করেন। রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকা ছেড়ে যায়।