প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে। যে কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, জবাবদিহি ও দুর্নীতিকে দূরে ঠেলে দিয়ে আত্মসম্মানবোধ ও কাজের প্রতি আন্তরিকতা নিয়ে এগোতে পারলে যে কোনো কঠিন কিছু সহজভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব। শুধু তাই নয়; যে কোনো অসাধ্য সাধন করা যায়। সেটিই প্রমাণ করেছে আজকের বাংলাদেশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্যই এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। আমার সঙ্গে যেন মন্ত্রণালয়গুলোর যোগাযোগ থাকে, সে চিন্তা থেকে এ পদ্ধতি নেওয়া। আপনারা (সচিব) অনেক পরিশ্রম করছেন, তার ফল পাচ্ছেন।
আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে গেলে অসাধ্য সাধন করা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা আছে। দেশের জনসংখ্যাও অনেক বেশি। তবুও আমাদের লক্ষ্য ২০৪১-এর মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্যেই এখন এগিয়ে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালে বলেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব, তা করেছি। শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। উন্নয়নশীল দেশের বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৬ সাল থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, অর্থনীতির ওপর চাপ পড়েছে।তবুও অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, দ্রুত দেশের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। তার ফল জনগণ ভোগ করছে। বাংলাদেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ সব কিছু ব্যবস্থা করে সেই উন্নয়নের গতিতে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। কিন্তু এটা সম্ভব হয়েছে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতার জন্য।
তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর মঙ্গার চিত্র দেখা যায় না। যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করেছি। মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সরকার গঠন করার পরে যারা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে ছিলেন, তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেই সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।