মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার জো বাইডেন আমলে নিয়োগ পাওয়া সব ইউএস অ্যাটর্নিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নিরা এখন আর পদে থাকতে পারবেন না।
ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এই বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত চার বছরে মার্কিন বিচার বিভাগের রাজনৈতিক প্রভাব এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। এরপর তিনি জানান, “এ কারণেই আমি বাইডেন প্রশাসনের অধীনে নিয়োগ পাওয়া সকল অ্যাটর্নিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।”
এছাড়া, তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগে একটি স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থা অত্যন্ত প্রয়োজন, যা আজ থেকে শুরু হলো।”
যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত যখন নতুন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসেন, তখন পূর্ববর্তী প্রশাসনের নিয়োগ করা অ্যাটর্নিদের বরখাস্ত করা হয় এবং নতুন কাউকে নিয়োগ করা হয়। দেশটির ৯৪টি কেন্দ্রীয় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ৯৩ জন ইউএস অ্যাটর্নি দায়িত্বে থাকেন, যেখানে প্রত্যেকটি ডিস্ট্রিক্টে একজন করে অ্যাটর্নি থাকেন।
গত নভেম্বর মাসে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বাইডেন আমলে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন অ্যাটর্নি পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, বাইডেনের অধীনে বিচার বিভাগ তাকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছে, এবং তার নেতৃত্বে নানা পরিবর্তন আনার জন্য তিনি কার্যক্রম শুরু করেন। এরই মধ্যে অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এবং পদোন্নতিও দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিল সাবেক বিশেষ পরামর্শক (স্পেশাল কাউন্সেল) জ্যাক স্মিথের কার্যালয়ের সদস্যরা, যারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেছিলেন। যদিও এখন মামলাগুলি বাতিল হয়ে গেছে।
নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ভারপ্রাপ্ত ইউএস অ্যাটর্নি সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং সম্প্রতি নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাহার করার পর পদত্যাগ করেন।