রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৩ জুন) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের পাশ থেকে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের নিরবতা ভেঙে হঠাৎ একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে শিশুটি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
একজন ক্ষুব্ধ বাসিন্দা বলেন, ‘এই সমাজে যদি শিশুরাও নিরাপদ না থাকে, তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ? আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ধর্ষকের ফাঁসি চাই।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সুশীল সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীরাও ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করার দাবি জানান।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোহিদুল ইসলাম বলেন,’মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী এবং পথশিশুর মতো চলাফেরা করতো। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভালো। আমরা নিয়মিত তার খোঁজখবর নিচ্ছি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং দোষীদের শনাক্ত করে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।’
স্থানীয়দের মতে, এ ঘটনায় মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবাইকে সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। যেন এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর না ঘটে।