মো.মাসুম ইসলাম,বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় পৌরসভার আওতাধীন সড়ক পুনর্নিমাণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যহারের অভিযোগ উঠেছে। পূর্বে রাস্তা তৈরিতে ব্যবহৃত ইট ও পিচ তুলে সেই মালামাল নতুন করে নিম্নমানের ইটের খোয়ার সঙ্গে মিশিয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলেছে।
পৌরসভা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুয়েতি ফান্ডের অর্থায়নে এ প্রকল্পের আওতায় বাঘা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড (জগো ডাক্তারের বাড়ি থেকে গাওপাড়া জালাল উদ্দীন ক্যারানী এর বাড়ি, সুরাফ উদ্দিন এর বাড়ি হতে শুরু হয়ে অধ্যক্ষ বজলুর রহমানের বাড়ি রাস্তা হয়ে তৌহিদ মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত) প্রায় ২ হাজার ৩শত মিটারের সড়কে নতুন কার্পেটিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে।
রাস্তা নির্মাণে আনুমানিক দুই কোটি টাকা ব্যয়-বরাদ্ধ নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌরসভার ২ হাজার ৩ শত মিটারের এই কাজটির দায়িত্বাধীম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিম কন্সট্রাকশন।
স্থানীয় বাসিন্দারা এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, রাস্তার কাজে ৩ ইঞ্চি ভালো মানের খোয়ার কার্পেটিং করার কথা থাকলেও দেড় থেকে ২ ইঞ্চি করা হচ্ছে। সেই সাথে ১০ ফিট প্রস্থের রাস্তার দুইপারের এজিং রিংয়ের কাজে আগের পুরনো ইট ব্যবহার করা হয়েছে। পিচ তুলে সেই মালামাল (ব্লাকটফ) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের হেফাজতে রাখার পর প্রক্রিয়াজাত এর মাধ্যমে সেখান থেকে আবার নিম্নমানের ইটের খোয়ার সঙ্গে মিশিয়ে রাস্তার কাজে ব্যবহার করে রোলার দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে। আবার অনেক জায়গায় বালু ও পানির ব্যবহার না করে শুধু ইটের খোয়া ফেলেই কাজ করা হচ্ছে। এমনকি রোলারের ব্যবহার সঠিক হচ্ছে না বলে ধারণা স্থানীয় এলাকাবাসীর। এমন ভাবে রাস্তা নির্মাণ করলে তা বর্ষা মৌসুমে নষ্ট হয়ে যাবে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ঠিকাদার সূত্রে জানা যায়, আগের রাস্তায় ব্যবহৃত পিচ এটি রাষ্ট্রের সম্পদ। এটা পৌর কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকবে, এগুলো আমরা ঠিকাদাররা ব্যবহার করতে হলে পৌরসভা থেকে কিনে ব্যবহার করতে হবে। আগের পিচ গুলো বিক্রি করলে পৌর কোষাগারে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা জমা হতো। কিন্তু পৌরসভা কার এবং কি স্বার্থে এতো টাকার মালামাল ঠিকাদারকে ব্যবহার করতে দিচ্ছে তা তাদের জানা নেই।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিম কন্সট্রাকশনের দায়িত্বে থাকা একজন জানিয়েছেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি।
পৌরসভার প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন জানায়, পৌরসভার অধীনে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আমরা কাজের মান পর্যবেক্ষণ করছি।