সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, যার কারণে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। আবার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারার কারণেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাজারের আগুনে পুড়ছে দেশের মানুষ।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত জরিপের ফলে দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ মানুষের জীবনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশ বলেছেন নেতিবাচক প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক।
তিনি বলেন, এ বছর মার্চে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম পরিচালিত দেশব্যাপী জরিপে জানা গেছে, গেল ছয় মাসে শহরে দরিদ্রদের খাদ্য কেনার ব্যয় বেড়েছে ১৯ শতাংশ। আর গ্রামাঞ্চলে এই ব্যয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। তাই দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছে। সাধারণ মানুষ মাছ, মাংস বা আমিষ জাতীয় খাদ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে।
সাধারণ মানুষ মাছ, মাংস বা আমিষ জাতীয় খাদ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের আশঙ্কা— এতে পুষ্টিহীনতায় জাতি শারীরিক সক্ষমতা হারাতে পারে। মানুষের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। জরিপের ফল অনুযায়ী, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে ৭৪ শতাংশ উত্তরদাতা ধারদেনায় জর্জরিত হচ্ছে, আর ৩৫ শতাংশ মানুষ ভেঙেছেন সঞ্চয়।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রীরা যখন বলেন বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙা যায় না, তখন জাতির জীবনে হতাশা ছাড়া আর কিছুই থাকে না। সাধারণ মানুষের ধারণা— সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা, জবাবদিহিতার অভাব আর দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারবে না। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে— সরকার কীভাবে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে।