প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতা বিবর্জিত এবং এ বাজেট দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
তিনি বলেন, বাজেটে যেসব পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে তা দিয়ে মূল্যস্ফীতি রোধ ও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা অসম্ভব।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করে।
চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে বাজেটে ঘোষিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনুমানগুলো অলীক ও অপ্রাপ্য বলে মনে করে সংস্থাটি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, “দেশের কোনো নাগরিক যদি ৩৮টি সরকারি সেবা পেতে চান, তাহলে সেখানে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে কর রিটার্ন সাবমিট করতে হয়। এখন তার আয় যা-ই হোক না কেন তার ওপর ২ হাজার টাকা কর আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি আমাদের কাছে অবিবেচনাপ্রসূত মনে হয়েছে। আমরা মনে করি সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে এই নিম্নতর কর তুলে দেওয়া উচিৎ।”
তিনি বলেন, ‘আমরা যে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমদানি করি তা থেকে শুল্ক অব্যাহতি দেয়ার জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই।’
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সামগ্রিকভাবে চলমান অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলায় এই বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল।
তবে সিপিডি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য পৃথক করদাতাদের জন্য বিদ্যমান করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাবের প্রশংসা করেছে।