দেশের মানুষ কোনো বিপদে নেই, বিএনপিকে নিয়েই মানুষ বিপদে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ঘোচানোর জন্য কখন কী ঘটিয়ে বসে, তা নিয়ে জনগণ দুশ্চিন্তায় আছে।দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বিএনপি বড় হুমকি।
মঙ্গলবার(১ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা জানান।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন–দেশ গভীর সংকটে আছে–এর জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকটে দেশ নয়, গভীর সংকটে আছে বিএনপি। সংকটে তাদের পরাশ্রয়ী রাজনীতি। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতে নিরাপদ নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের হুমকি দেয় কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে, সেটাই তারা জানে না। বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান–দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত। একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় দণ্ডপ্রাপ্ত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মহানুভবতায় ঘরে বসে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। আরেকজন রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে কাপুরুষের মতো বিদেশে পালিয়েছেন। তিনি ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে ইঙ্গিত করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, নিরাপদ দূরত্বে থেকে নিজে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। আর নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে দূর থেকে শব্দবোমা ছুড়ছেন। স্বপ্ন দেখছেন ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের। দেশের জনগণ আর পেছনে ফিরে যেতে চায় না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের কোনো সংকট নেই, সংকট বিএনপির মনস্তত্ত্বে। বিএনপি সব সময় তাদের বক্তব্যে কৃত্রিম সংকটের গন্ধ পায়। তারা স্বাধীনতা গেল বলে হাহুতাশের রাজনীতি করে। বিএনপিকে এই সংকট থেকে উত্তরণে অপরাজনীতির কৌশল পরিহার করতে হবে।
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করে বিএনপি সঠিক পথে ফিরে এলেই তা হবে দেশের রাজনীতির জন্য সহায়ক’, যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।