বিএনপির সমাবেশে জনগণের সম্মেলন ঘটেনি, অংশগ্রহণ ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটি নেতা-কর্মীদের আন্দোলন। ক্ষমতায় আসার মূলা ঝুলিয়ে নেতা-কর্মীদের জড়ো করা হয়েছিল। কিন্তু জনগণ ছাড়া গণআন্দোলন কেমন করে হবে? মূলত বিএনপির আন্দোলনে তাদের নেতারাই হতাশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
একুশে আগস্টের হত্যাকাণ্ড সুপরিকল্পিত উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের মাধ্যমে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে জিয়া পরিবার। তাদের টার্গেট বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগ। ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমানের মদদে হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। ২১ আগস্ট তার ছেলে তারেক রহমানের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা হয়েছে। আজ গণতন্ত্রের জন্য যারা মায়াকান্না করে, তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস কত নির্মম! সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী…যখন এই প্রসঙ্গটি (২১ আগস্ট) উঠছিল, তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন, উনাকে আবার কে মারতে যাবে! উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। এই উপহাসও করেছিলেন ২১ আগস্টের ঘটনার সময়। জজ মিয়া নাটক আরও নির্মম। তারা আলামত নষ্ট করে দিয়েছিল।
‘আমরা একটা কথা বলতে চাই ও দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- এই হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সঙ্গে যারা জড়িত, যারা গণতন্ত্রের নামে মায়া কান্না করছে তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির সঅবস্থানের কোন সুযোগ আছে কি না?’, জানান ওবায়দুল কাদের।