মাঠের রাজনীতিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শুক্রবার বেলা আড়াইটার পরে বিএনপিসহ ১৩টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা গণমিছিল কর্মসূচি শুরু করেন। সেখান থেকে গণ-অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আগামী ১১ জানুয়ারি সারা দেশে সব বিভাগীয় শহরে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকার গণ–অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে৷
বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শুক্রবার নয়াপল্টন থেকে বিএনপির গণমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়। আড়াই কিলোমিটার দূরত্বের এই পথের বিভিন্ন স্থান থেকে গণমিছিলে যুক্ত হন বিএনপিসহ ১৩টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।
বিকেলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও গণমিছিল কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা ১০টি বিভাগীয় গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। বিএনপির সৈনিকেরা কতটা সুশৃঙ্খল থাকতে পারে, তার উদাহরণ সৃষ্টি করব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমিছিলের পর যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি গণ–অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যেসব দল ও জোট আজ গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে, তারাও গণ–অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেবে।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জুমার নামাজের আগে থেকেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলে দলে নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হন। জুমার নামাজের পর কাকরাইল মোড় থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত সড়কে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অবস্থান নেন।
২৪ ডিসেম্বর বিএনপিসহ জোটের দলগুলো সব বিভাগীয় ও জেলা সদরে গণমিছিল করেছে। ঢাকায়ও ওই দিন গণমিছিল করার কথা ছিল। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কারণে ওই দিনের ঢাকার কর্মসূচি পিছিয়ে আজ ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধী দল-জোটের গণমিছিলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘সতর্ক পাহারা’ বসিয়েছে ছাত্রলীগ।