বিএনপি যে দাবির কথা বলছে সে বিষয়ে বিদেশিদের কোনো বক্তব্য নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হোক সেটা নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথা আছে। তারা সংসদের বিলুপ্তি চায়, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়। কিন্তু এগুলো নিয়ে বিদেশিরা কথা বলেনি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর বানানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিরা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন, আমরা কীভাবে নির্বাচন করতে চেয়েছি বা করতে চাই। ইলেকশন প্রক্রিয়াটা কেমন হবে। অপজিশনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন? এসব নিয়ে তারা আলোচনা করছে বা করবেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে, সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য তা আরো স্পষ্ট হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। তারা সন্ত্রাস করবে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন পণ্ড করবে, নির্বাচন ভণ্ডুল করবে- এ লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি যে নির্বাচনে আসবে, এমন কোনো ইঙ্গিত ইশারা কি দিয়েছে? তারা যে এক দফা দাবিতে চলে গেছে, সেখানে তারা তো নির্বাচনে আসার অনুকূলে নেই। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উসকানি এরইমধ্যে দেওয়া শুরু করেছে। তারা জানান দিচ্ছে, তারা অশান্তির দিকে যাচ্ছে। তাদের অশান্তি হলো সন্ত্রাস করবে, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চাইবে। এসব লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। এটা তারা জানান দিয়ে ফেলেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা, আওয়ামী লীগের দফা একটাই- সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। বিএনপির দাবি অদ্ভুত, উদ্ভট ও অযৌক্তিক। বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দিবে এমন নিশ্চয়তা না পেলে তারা নির্বাচনে আসবে না- এটা তাদের প্রতিজ্ঞা, তারা পণ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছি তারা যেন বিএনপির উসকানিতে শান্ত থাকে। তারা উসকানি দেবে কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের মাথা গরম করা চলবে না। বিএনপি যে কোন পথে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তাদের যা করার তাই করবে। একটা দেশে কি এক দল সন্ত্রাস করবে, অফিস ভাঙবে, পুলিশকে মারতে যাবে, যেখানে সেখানে মারামারি করতে যাবে, সেখানে কি সরকার চুপ করে বসে থাকবে?
এর আগে সেতুভবনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক।
বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, সাক্ষাৎকালে দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কিভাবে হবে, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব, বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশি হাইকমিশনার নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক করার কথা বলেছেন।