বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে ‘পাকিস্তান প্রেম’ ও রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সংগঠনের এক বিবৃতিতে দেশের ৯৪ জন বিশিষ্টজন এই আহ্বান জানান।
এছাড়াও ‘৭১-এর গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানের সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ ছিন্ন করতেও দলটির মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বিএনপি ও দলটির মহাসচিবের সাম্প্রতিক ভূমিকার নিন্দা জাননো হয়।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মঙ্গলবারের বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি রাষ্ট্রবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিনাশী কর্মকাণ্ড করছে, এতে তরুণ প্রজন্ম শুধু বিভ্রান্ত হচ্ছে না, মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত শত্রুরা উল্লসিত ও অনুপ্রাণিত হচ্ছে। এমনকি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচার করে দাবি করেছেন “পাকিস্তান আমলে আমরা ভাল ছিলাম”। তার এ জাতীয় বক্তব্য হালকাভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তরুণ প্রজন্মকে পাকিস্তানপন্থি বিএনপি-জামায়াত চক্রের এ ধরনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার পাশাপাশি বিএনপির মহাসচিবকে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রকাশ্য ও গোপন সকল যোগাযোগ ছিন্ন করে, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের মূল্যে অর্জিত বাংলাদেশের অর্জন ও মর্যাদাহানিকর বক্তব্য থেকে বিরত থাকতেও বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মাঝে রয়েছেন- বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার, মালেকা খান, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, সাংবাদিক আবেদ খান, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, জননেতা ঊষাতন তালুকদার, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, চলচ্চিত্রনির্মাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ।