বিএনপির সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করে
দুয়েকদিনের মধ্যে ‘যুগপৎ আন্দোলনে’ নামার ঘোষণা দিয়েছে সাত দলের মোর্চা গণতন্ত্র মঞ্চ।
বুধবার(৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর করে নেব এবং একে অগ্রসর করবার জন্য যে দুটি ভিত্তি, যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলবার জন্য, আরও ব্যাপকভাবে এই ইস্যুর ওপরে ঐক্যবদ্ধ থাকবার জন্যে,আরও আলোচনা চালিয়ে যাব।
মাহমুদুর রহমান মান্না জানান, আন্দোলনের ফিজিক্যাল যে অংশ, অর্থাৎ শারীরিকভাবে সেই আন্দোলনকে গড়ে তুলবার জন্য আমরা একটা লিয়াজোঁ কমিটি করব। আমরা আশা করি, ১০ তারিখের আগেই এই কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে।
এ সময় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আলোচনায় আন্দোলনের বিষয় ওঠে এসেছে। এবারের আন্দোলনে সফল হতে পারলে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হবে।শাসনতন্ত্রের কথা বলে নির্বাচন না করে যাতে স্বৈরাচারের জন্ম না হয়, সে ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আমরা সেইরকম পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবে।
টুকুর ভাষ্য, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগেই ওই লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হবে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ভবনে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠক শুরু হয়; চলে দেড়টা পর্যন্ত।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।
মঞ্চের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বহ্নি শিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, ইমরান ইমন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান এবং নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার।