আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আবারও ক্ষমতায় এলে এ দেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। কোনো ভালো মানুষকে তারা রাখবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের অস্তিত্বকে তারা নিশ্চিহ্ন করে দেবে। বিএনপি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বড় ঠিকানা এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তারা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাবে নিশ্চিত। গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং এদেশের অস্তিত্বকে বাঁচানোই এখন আমাদের মূললক্ষ্য।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বাংলার মাটিতে বিশ্বাসঘাতকতায় বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। তার অর্জন থেকে পরাজয়, কোথা থেকে আমরা কোথায় এসেছি, তার ইতিহাস জানা জরুরি।
তিনি বলেন, জিয়ার প্ররোচনায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। জেল খানায়ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। যে জিয়া-মোশতাক ১৫ই আগস্টের মাস্টারমাইন্ড, তারা ৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ডেরও মাস্টারমাইন্ড। ১৫ আগস্ট একটি পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৫ আগস্ট ব্যর্থ হয়ে একুশে আগস্ট সরাসরি তারেক রহমানের নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একুশে আগস্টের আলামত নষ্ট করা হয়েছিল কেন এ উত্তর আজও বিএনপি দিতে পারেনি।
বিএনপির আন্দোলন সফল হবে না মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, যে নেতা মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যায়, তাকে কেন আওয়ামীলীগ ভয় পাবে?? লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কীভাবে আন্দোলন করাবে। বিএনপির আন্দোলন দফা কিংবা কোনো কর্মসূচির ঠিক নেই। যে আন্দোলন জনসম্পৃক্ততা নেই, বিশ্বে এমন আন্দোলন কখনোই সফল হয়নি, এ দেশেও হবে না।
মানুষ পোড়ানো কিংবা সন্ত্রাসের মতো অপরাজনীতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা দলবেঁধে সিঙ্গাপুর গেছেন, জাতীয় পার্টিরও একজন রয়েছে। রাজনৈতিক আলোচনা দেশেও হচ্ছে, বিদেশে গিয়েও করছে। রাজনীতি করেন, ষড়যন্ত্র কিংবা সমালোচনা করবেন না।