আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা যেমন ১১ তারিখ ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সতর্ক পাহারায় ছিলাম, ১৬ তারিখেও থাকবো। বিএনপি যদি কোনো বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালায়, জনগণকে সাথে নিয়ে সেটি প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এমনটা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কাউকে শান্তি, স্থিতি, শৃঙ্খলা এবং জনজীবনে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না। বিএনপি নেতারা যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, তার সাথে বাস্তবতার মিল নেই। বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের সমাবেশ দেখে এটিই প্রতীয়মান হয়- জনগণ তো দূরের কথা, বিএনপির কর্মীরাও সবাই সেখানে অংশগ্রহণ করেনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা মানুষ এনেছে, তারপরও নয়াপল্টনের সামনের সমাবেশে আশানুরূপ মানুষ হয়নি।
বিএনপির দুই সিনিয়র নেতার জামিনে মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস সাহেব মুক্তি পেয়েছেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এতেই প্রমাণিত হয় দেশে আইন আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিএনপি বারবার আইন-আদালত নিয়ে যে প্রশ্ন তোলে সেটি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তাদের জামিনের মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর মির্জা আব্বাস, মির্জা ফখরুলসহ নেতারা একটু গণতন্ত্রের পথে হাঁটার মতো করে বক্তব্য দিতে চেষ্টা করছে বলে আমি মনে করছি।
বিএনপি নেতার বক্তব্য তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা আব্বাস বলেছেন আমরা কাউকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে চাই না, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দিতে চাই।’ আমরা তো বলি আপনারা নির্বাচনে আসুন, নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ যদি চায় তাহলে আমরা দেশ পরিচালনা করবো। জনগণ যাদেরকে চায়, তারা দেশ পরিচালনা করবে। এটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার রীতিনীতি, গণতন্ত্রের রীতিনীতি।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ড.হাছান মাহমুদ আরও বলেন, তারা গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবেন সেটিই আশা করি। তাদের দু’জনেরই সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করি। সরকার করোনার চতুর্থ ডোজ দিচ্ছে, প্রয়োজনে তারা সেটিও নিতে পারেন।