বাড়িতে এফবিআইয়ের অভিযানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিরুদ্ধেই মামলা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চলমান মামলায় জব্দ করা নথি নিয়ে বিচার বিভাগের চলমান তদন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এছাড়াও এফবিআইয়ের জব্দ করা ওই নথিগুলো খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ আইনজীবী নিয়োগেরও দাবি জানানো হয়েছে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিয়ম মেনে সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগের তদন্ত চলছে। নিয়ম অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের নিজেদের সব নথি ও ই-মেইল ন্যাশনাল আর্কাইভে স্থানান্তর করতে হয়।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়ার পর ট্রাম্প সে নিয়ম না মেনে হোয়াইট হাউস থেকে কোনো নথি নিজের মালিকানাধীন রিসোর্ট ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে নিয়ে গেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে এফবিআই। ট্রাম্প এ রকম কিছু করেননি বলেই দাবি করেছেন। পাশাপাশি বলেছেন, যে নথিগুলো এফবিআই জব্দ করেছে, তা আর রাষ্ট্রীয়ভাবে গোপনীয় তালিকাভুক্ত ছিল না।
সব মিলিয়ে ট্রাম্পের মামলার ২৭ পৃষ্ঠার একটি নথি জমা দেওয়া হয়েছে ফ্লোরিডার আদালতে। ওই নথিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিচার বিভাগের অনুসন্ধান প্রসঙ্গে বলেছেন, এটি ‘অহেতুকভাবে’ করা হচ্ছে। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আবারও নির্বাচনে দাঁড়ানো থেকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই তা করা হচ্ছে।
মামলায় আরো দাবি করা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাজ নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
এদিকে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চেভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের ওই ফাইলগুলি গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় ব্যক্তি বা সংস্থার উপস্থিতিতে যেন ওই ফাইল খোলা হয়। নইলে তদন্ত যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য হবে না। আদালত ট্রাম্পের আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করেছে। ফলে এখনই ফাইলগুলি এফবিআই খুলতে পারবে না। তদন্তও করতে পারবে না।
এদিন ট্রাম্পের আইনজীবী আদালতে আরও একটি আবেদন জানিয়েছিলেন। এফবিআই ট্রাম্পের বাড়ি থেকে যা বাজেয়াপ্ত করেছে তার একটি তালিকা চাওয়া হয়েছে। আদালত এফবিআই-কে সেই তালিকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে।
এদিকে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে বিচার বিভাগ জানিয়েছেন, তাদের আইনজীবীরা ট্রাম্পের মামলার ব্যাপারে জানেন এবং এর জবাব আদালতেই দেবেন।