ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল বিজয়ী হলে নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটের সমাধান হবে বলে দাবি করেছেন শিবিরের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, আমরা বিজয়ী হলে নারীদের আবাসন নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় মধুর ক্যান্টিনে ডাকসুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
শিবিরের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে বেশ কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এসবের সমাধান নিয়েই আমাদের ইশতেহার সাজানো হবে।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা নির্বাচিত হলে ‘লাঞ্চের পরে আসুন টাইপের কথাবার্তা চলবে না।’
রেজিস্ট্রার বিল্ডিংকে আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়াও, সেখানে শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম কাজের ব্যবস্থা থাকবে।
সাদিক বলেন, নির্বাচিত হলে শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ছাত্রীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু এতে তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তারা ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল ভবন বানাচ্ছে আর এদিকে শিক্ষার্থীদের আজিমপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হচ্ছে।
তিনি ক্যান্টিনে খাবারের মান নিয়ে বলেন, আমরা আজ দুপুরে একাত্তর হলের ক্যান্টিনে খাবার খেয়েছি। খাবারের মান খুবই জঘন্য। এ খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে পারবে না। আমাদের ইশতেহারে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা থাকবে।
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে কালচারাল সেন্টার স্থাপন, হলের অডিটোরিয়াম, রিডিংরুম ও মাঠ সংস্কার, অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে প্রবেশের এক্সেস, হলের ভেতরে গার্ডিয়ান লাউঞ্জ স্থাপন, ডাকসুকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্তি, বাস সিন্ডিকেট নির্মুল, ডে কেয়ার, চিলড্রেন কেয়ার স্থাপনসহ নানা বিষয় শিবিরের ইশতেহারে থাকবেন বলে জানান তিনি।
শিবিরের এই ভিপি প্রার্থী বলেন, নারীদের রাজনীতিবিমুখ করার জন্য একটা পক্ষ ক্রমাগত সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে। আমি সব দলকে অনুরোধ করবো দায়িত্বশীল আচরণ করতে। এছাড়াও, তিনি তাদের রাজনীতির নামে নষ্টামি না করার আহ্বান জানান।
এসময় শিবিরের জিএস পদপ্রার্থী ও ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।