বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা প্রত্যাহারের ঘটনায় সমালোচনা করে বলেছেন, আজকের পত্রিকায় আছে, সরকার আমাদের দেশে যেসব বৃহৎ দেশের কূটনীতিক আছেন, তাঁদের বিশেষ নিরাপত্তা এসকর্ট বা প্রটোকল ছিল, তা প্রত্যাহার করেছে। গত ৫১ বছর বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তার অর্থ হচ্ছে, এই সরকার কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে আজকে পাগলের মতো আচরণ করছে। দেশে-বিদেশে আর এই সরকারের কোনো সমর্থন নেই।
বুধবার (১৭ মে) বিকেলে রাজধানীর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগে সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকায় এই পদযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে টানা ১০ দিনের কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করতে গণ-অভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, যে সংকট সামনে, এই সংকটের ফয়সালা করতে হলে রাজপথেই করতে হবে। অতএব এই রাজপথে এর ফয়সালা করার জন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে জনগণের মধ্যে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে এই সরকারকে বিদায় করব—এটাই আমাদের শপথ।
বিএনপি সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। তারা দেশের অর্থনীতি লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে যে অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে, সেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। যারা এ দেশের আইনী ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা এ দেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না। যারা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে, তারা দ্রব্যমূল্য কমাতে পারবে না।
সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর ঢাকা মহানগর উত্তরের হাজার হাজার নেতা-কর্মী ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। মালিবাগের আবুল হোটেলের কাছে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়।
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ পরিচালনা করেন সদস্যসচিব আমিনুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান রতন, রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর বিএনপির তাবিথ আউয়াল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল।