বিদেশে চিকিৎসার বিকল্প হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নবনির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বুধবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হাসপাতালটির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চিকিৎসকদের আরও বড় পরিসরে আত্মনিয়োগ করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ ও দরিদ্র জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আরও ব্যাপকভাবে আত্মনিয়োগ করার জন্য আমি চিকিৎসকদের অনুরোধ করতে চাই। আপনাকে গ্রামে যেতে হবে এবং গ্রামীণ মানুষের যত্ন নিতে হবে। তাদের সাথে আপনাদের ভালো ব্যবহার করতে হবে।’
৭৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পাঁচটি কেন্দ্রে একজন রোগী বড় পরিসরে চিকিৎসা পাবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আলাদা আলাদা বিভাগ ও ডিসিপ্লিন থাকবে। প্রায় পাঁচ থেকে আট হাজার রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা পাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্ররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন তাহলে আপনার প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়বে।’
চিকিৎসকের কাছ থেকে কোনো রোগী ইতিবাচক কিছু শুনলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা ভালো অনুভব করে। বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের এ বিষয়ে যত্নবান হওয়ার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য ড. শরফুদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউন বক্তব্য দেন।
১৩ তলা বিশিষ্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল (দুটি বেসমেন্টসহ) বিএসএমএমইউয়ের উত্তর পাশে তিন দশমিক চার একর জমিতে এক হাজার ৫৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। ব্যয়ের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ঋণ হিসেবে এসেছে এক হাজার ৪৭ কোটি টাকা।