বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এখন সাদা হাতিতে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন না করে আওয়ামী লীগের লোকেরা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ‘ব্ল্যাকআউট বাংলাদেশ:লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতকে বিলিয়নিয়ার তৈরির কারখানায় পরিণত করে অর্থনীতি ও জনজীবন সংকটাপন্ন করে তুলেছে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এতে আরও অংশগ্রহণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সবকিছুর দায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আর করোনার ওপর চাপিয়ে পার পেতে চাচ্ছে। সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক আগেই দেশের সার্বিক অর্থনীতি খাদের কিনারে চলে এসেছিল। বিদ্যুৎ খাতের অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই অনিবার্য ছিল।
বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনায় উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ নেটওয়ার্ক ও গ্রাহক সংযোগ–এই চার মৌলিক স্তরের সমন্বয় করা হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের মধ্যে ভারসাম্য থাকা জরুরি। ২০০৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইন যেখানে মাত্র ৬৯ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে ৪১৭ শতাংশ। সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে যতটা আগ্রহী, সঞ্চালন লাইন সংস্কার ও আধুনিকায়নে ততটাই নিষ্ক্রিয় থেকেছে।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ তুলেছেন– বেসরকারি বিদ্যুৎ খাতে গত একযুগে অন্তত ৯০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জের ভর্তুকির জোয়ার বইয়ে দেওয়া হয়েছে। চুক্তির ফাঁকে ও ফাঁদ দেখিয়ে আওয়ামী লীগের লোকেরাই এ টাকা বাগিয়ে নিয়েছেন। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মিথ্যা সক্ষমতার বিপরীতে রাষ্ট্রের বাজেট বরাদ্দ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই কেন্দ্রের অনেক উৎপাদনে যেতেই অক্ষম।