সম্প্রতি বাংলাদেশ নারী ফুটবুলাররা বিদ্রোহ করে বসেন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে আগামী ৬ এপ্রিল জাতীয় ক্যাম্পে ফিরছেন বিদ্রোহী নারী ফুটবলাররা। দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন শেষে ফুটবলে ফেরার সিদ্ধান্তে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ফিরেছে নতুন আশার আলো। বাফুফের পক্ষ থেকে ৫৫ নারী ফুটবলারকে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারও।
বাফুফে জানিয়েছে, এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্সের খেলা রয়েছে এবং অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা রয়েছে। এ দুটিকে লক্ষ্য রেখে ক্যাম্প শুরু হবে। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে ৫ এপ্রিল রওনা হয়ে ৬ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছানোর কথা বলা হয়েছে।
ছুটি দেওয়ার আগে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ঘোষণা দিয়েছিলেন, সবাইকে ক্যাম্পে ডাকা হবে, এবং সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, রুপনা চাকমাসহ ১৮ বিদ্রোহী ফুটবলারও ডাক পেয়েছেন। এতে করে দীর্ঘদিনের জটিলতা কাটিয়ে নতুনভাবে দল গঠনের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
সাতক্ষীরায় নিজের বাসা থেকে এক সাক্ষাৎকারে বিদ্রোহী ফুটবলার মাসুরা পারভীন জানান, বাফুফে থেকে আমাদেরকে খুদেবার্তায় আগামী ৬ এপ্রিল ক্যাম্পে যোগ দিতে বলা হয়েছে। আমরা যোগ দিচ্ছি।
নারী ফুটবলারদের এই ফেরাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বাফুফেও। এক কর্মকর্তা বলেন,আমরা চাই দেশের ফুটবল সামনের দিকে এগিয়ে যাক। সব খেলোয়াড়কে একসঙ্গে অনুশীলনে ফেরত পেতে পেরে আমরা আশাবাদী। আমাদের লক্ষ্য আগামী আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোতে ভালো করা।
ক্রীড়া বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। বেশ কিছুদিন ধরে ফুটবলারদের বিদ্রোহ নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল। তবে এখন একসঙ্গে অনুশীলনে ফেরার সিদ্ধান্তে দলীয় সংহতি আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি মাসুরা পারভীন ও গোলকিপার রুপনা চাকমা ঈদের পর ভুটানের ঘরোয়া লিগের ক্লাব ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ভালো প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভুটান যাওয়ার বিষয়ে মাসুরা পারভীন বলেন, ক্লাবের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। ঈদের পর আমরা সেখানে যোগ দেবো। আমাদের লক্ষ্য দেশের বাইরে গিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করা এবং ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দেশের নাম উজ্জ্বল করা।