কক্সবাজার বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কাউন্টারের সামনে থেকে নারীসহ ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার জন্য তারা বিমানবন্দরের টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলেন। টিকেট ওকে হলেই তারা কক্সবাজার ত্যাগ করতেন। তবে তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে কাউন্টারের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে আটক এ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নগদ তিন লক্ষাধিক টাকাও জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ক্যাম্প ১৭ এর ৭২ ব্লকের বাসিন্দা মৃত নজরুলের ছেলে মো. নূর, একই ক্যাম্পের আবু তাহেরের ছেলে মো. নূর, ক্যাম্প-২ এর আই ব্লকের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে মো. আয়াজ, ক্যাম্প ২৬ এর আই ব্লকের বাসিন্দা মৃত লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল হক, একই ক্যাম্পের আব্দুর শুক্কুরের ছেলে রবি আলম ও তার ভাই আবু বক্কার ছিদ্দিক, একই ক্যাম্পের এ/১০ ব্লকের নুর আলমের ছেলে ওসমান, ক্যাম্প-১৭ এর ৭২ ব্লকের বাসিন্দা মৃত সলিমুল্লার ছেলে রেজাউল করিম, ক্যাম্প ৮ ইস্ট এর বি/৭৪ ব্লকের নুরুল আমিনের ছেলে মো. আজিজ, ২৬ নং ক্যাম্পের আই ব্লকের দীল মোহাম্মদের ছেলে মো. ফয়সাল এবং আব্দু শুক্কুরের মেয়ে রহিমা।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরে কনকোর্স হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কাউন্টারের সামনে বিমানের জন্য অপেক্ষারত এক মহিলা এবং দশ জন পুরুষের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাহাদের আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। আটকের পর তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
আটকের পর তাদের কাছ থেকে ইউএস-বাংলা ২টি, নভোএয়ার ২টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫টি টিকেট উদ্ধার করা হয়। এসময় পৃথকভাবে তাদের তল্লাশি করে নগদ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
এদের মধ্যে ফয়সাল নামক আটক এক রোহিঙ্গা সদস্যের কাছ থেকে দুইটি ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়পত্র, একটি আইএফআইসি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত মালামালসহ আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন বলেন, কেন তারা ঢাকা যাচ্ছিলো, কিংবা এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। একই সঙ্গে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।