বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে ‘স্থানীয় সরকার পর্যায়ে কভিড-১৯ রেসপন্স ও রিকভারি বা এলজিসিআরআরপি’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটি মার্কিন ডলারে অর্থায়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আজ রবিবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিজ মার্সি মিয়াং টেম্বন ওই অর্থায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে
ইআরডি জানিয়েছে, বিশ্ব ব্যাংক থেকে এসডিআর মুদ্রায় এ ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তবে, উত্তোলিত ঋণের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সুদ পরিশোধ করতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি পরিশোধের বিধান থাকলেও দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ব ব্যাংক কমিটমেন্ট ফি পরিশোধের বিষয়টি মওকুফ করে আসছে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হিসেবে বলা হয়েছে, হলো কোভিড-১৯ মহামারী থেকে উত্তরণে নগরকেন্দ্রিক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো, স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিধি সম্প্রসারণ এবং অত্যাবশ্যকীয় নাগরিক সুবিধাগুলোর (পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, ড্রেনেজ ইত্যাদি) প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ।
এ ছাড়া, প্রকল্পের মাধ্যমে ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রম জনগণের কাছে পৌঁছানো এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোর নিজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে আইটিভিত্তিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে।