ফিলিস্তিনের গাজায় যা হচ্ছে, তা অমানবিক কাজ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটা মানবতাবিরোধী কাজ। হাসপাতালগুলোর ওপর আক্রমণ। বাচ্চাদের কী দুরবস্থা। আমরা তো দেখছি, বিশ্বমোড়লেরা দুমুখো নীতিতে বিশ্বাস করে। প্যালেস্টাইনের সমস্ত জমি দখল করে ফেলছে, সেটা আগ্রাসন নয়, ইউক্রেনেরটা আগ্রাসন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবনে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে আমি উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করি। বক্তব্যে সব প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি বলেন, প্যানেলটিতে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে আমি বক্তব্য প্রদান করি। বক্তব্যের শুরুতেই আমি গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে চলমান যুদ্ধ-বিগ্রহ, অবৈধ দখলদারিত্ব এবং নিরস্ত্র মানুষের, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের, অমানবিক হত্যার কবল থেকে মুক্ত করে সব প্রকার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার জোর আহ্বান জানাই। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকেও বহুদূর পর্যন্ত। অনুভূত হয়, এ বিষয়ে আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রসঙ্গে আমি অর্থহীন অস্ত্র-প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় রসদ ও অর্থায়ন সহজলভ্য ও কার্যকর করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করি। মানবতার অস্তিত্বের সংকটকালে ক্ষুদ্র স্বার্থ যে শুধু অনর্থই বয়ে আনে এই রূঢ় বাস্তবতা আমি সবার সামনে তুলে ধরি। আর তাই, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং তা মোকাবিলায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানাই।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জিতে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়েন। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতির আমন্ত্রণে সেখানে যান তিনি।
জার্মানিতে অবস্থানকালে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। সফর শেষে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন।