পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি এবং শিক্ষার পরিবেশ দুটিই থাকা উচিত। বুয়েটে যেমন অবশ্যই ছাত্ররাজনীতি থাকা উচিত, তেমনই শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে—সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্রলীগ যুক্ত। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, স্বাধীনতা যুদ্ধে, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে এবং এরশাদ ও জিয়া যখন আমাদের গণতন্ত্রকে শিকল পরিয়েছিল, গণতন্ত্রকে বন্দী করেছিল সেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগ ভূমিকা রেখেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতিই অবদান রেখেছে, সেই ছাত্ররাজনীতি থেকে অনেক দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দিচ্ছে। কিন্তু আমি অবাক সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা হয় এবং ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।
তিনি বলেন, এটা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্ররাজনীতি দুয়ার খুলেছে।
এ সময় ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে বলবো সেখানে যেন নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি হয়, হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি যেন না ঢোকে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি থাকা প্রয়োজন, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের নেতা তৈরি হয়।