বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে আর থাকছে না নারী কোটা। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা থাকবে না। তবে জনবল কাঠামো ও এম.পি.ও. নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী,সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) ও শরীর চর্চা শিক্ষক পদের জন্য পূর্বনির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) নারী কোটার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায়। পরে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে শুধু ৭ শতাংশ কোটা রাখার পক্ষে মত দেন।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা বহাল রয়েছে—যার মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য এবং ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এই নীতিমালার আলোকে শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু হয়। ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়। পরে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নারী কোটায় কিছু শিথিলতা আনলেও এটি পুরোপুরি বাতিল হয়নি—এবারই প্রথম তা তুলে দেওয়া হলো।