কেউ যদি মুখ ঢাকা আইন ‘বোরকা নিষিদ্ধ’ ভঙ্গ করে তাহলে তাকে প্রায় এক হাজার ডলার জরিমানা করা হবে বলে প্রস্তাব করেছে সুইজারল্যান্ডের সরকার।বাংলাদেশের মুদ্রার তুলনায় যা এক লাখ টাকার সমান। দেশটির সরকার সংসদে এ আইনের একটি খসড়া পাঠিয়েছে। কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে৷
২০২১ সালের মার্চে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢাকা বা বোরকা নিষিদ্ধ নিয়ে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ৫১.২ ভাগ মানুষ বোরকা নিষিদ্ধ করার পক্ষেই ভোট দেয়। এরপরই এবার জরিমানার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের এমন পদক্ষেপকে সে সময় ইসলামফোবিক এবং যৌনতাবাদী হিসেবে সমালোচনা করা হয়েছিল।
প্রথমে মুখ ঢাকা আইন ভঙ্গ করার বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য এবং ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পরামর্শের পর মন্ত্রীসভা এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়নি।
তারা বিবৃতিতে জানায়, মুখ ঢাকার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে জননিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য। শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি মুখ্য না।
এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত বা প্রাকৃতিক কোনো কারণে মুখ ঢাকার সুযোগ রাখা হয়েছে। করোনার কারণে মুখ ঢাকা যাবে বলেও জানা যায়।
সুইজারল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা ৮৬ লাখ।
এরমধ্যে মাত্র ৫ ভাগ হলো মুসলিম। যাদের অধিকাংশের আদি নিবাস ছিল তুরস্ক, বসনিয়া এবং কসভোতে।
সুইজারল্যান্ডের লুসার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে,সুইজাল্যান্ডে মাত্র ৩০ জন নারী নিকাব পরেন বা মুখ ঢাকেন।
উন্মুক্ত স্থানে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্বের পাঁচটি দেশ। ২০১১ সালে ফ্রান্স পুরো মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করে। অন্যদিকে ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় উন্মুক্ত স্থানে আংশিক অথবা পুরোপুরি মুখ ঢাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।