ব্যক্তি পুলিশের অপরাধের দায় কখনো পুরো পুলিশ বাহিনী নেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব জনগণের সেবা করা, জনগণকে ভালবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৪তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন,পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া। পুলিশ বাহিনী কোনো খারাপ কাজ করে খবরের শিরোনাম হতে চায় না, বরং সাফল্য গাঁথার মাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হতে চায়।
আইজিপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ মে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের পুলিশের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে বাজেট বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক কাঠামোতে ক্যাডার পদসহ বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করেছে।
সমাপনী কুচকাওয়াজে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদার প্রিন্সিপ্যাল ও অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম ও চারঘাট পৌরসভার মেয়র একরামুল হকসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ১৬৪তম ব্যাচের ৪৫৩ জন শিক্ষানবিশ কনস্টেবল ৬ মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী তিনজনকে ক্রেস্ট প্রদান করেন আইজিপি। এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন সিয়াম সিদ্দিকী সাগর।