আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর এজলাসে হট্টগোল, বিচারক ও আদালতের কর্মচারীদের ‘গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের’ অভিযোগকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমস্যা ‘ভাইবোনের ঝগড়ার মতো’। এ সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তিনি৷
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, ঘরেও ভাই-বোনের ঝগড়া হয়। দুদিন কথা বন্ধ থাকে, তৃতীয় দিনে কথা শুরু হয়। বার এবং বেঞ্চের ভাই-বোন, পরিবারের মতোই সম্পর্ক। সেখানে এ রকম বিবাদ হতে পারে।
এটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম হয়েছে তা নয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটা আদালতে হয়ে থাকে আবার মীমাংসাও হয়ে যায়। আমার আশা, এই সমস্যাটা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন, আইনজীবীর স্বার্থ দেখার দায়িত্বও আমার।
আনিসুল হক বলেন, যেখানেই এ রকম ছোটখাটো ঘটনা হয়েছে; আমি বলবো না হস্তক্ষেপ, আমরা সেখানে গিয়ে সমস্যা সমাধান করার জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছি এবং সমস্যার সমাধান করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমস্যাটা আগে আমার কানে এলে এতদূর হয়তো গড়াতো না বলেই জানান তিনি৷
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ১ ডিসেম্বর। এদিন ৩টি মামলা না নেওয়ায় ১ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সঙ্গে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ৫ জানুয়ারি আইনজীবীরা ৩ কার্যদিবসের কর্মবিরতির ডাক দেন। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মোট ৬ কার্যদিবস কর্মবিরতি পালন করেন। ৪ জানুয়ারি ১ দিনের কর্মবিরতি পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।