বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত অধ্যায় ‘৩৬ জুলাই’-এর শহীদ ছাত্র ও জনতার স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে লন্ডনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে।
‘জাস্টিস ফর জুলাই ইউকে’ সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ১৩ দফা দাবিসহ একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বুধবার (৯ জুলাই) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. ওয়ারিসুল ইসলাম। তিনি ‘জাস্টিস ফর জুলাই ইউকে’-এর নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন।
স্মারকলিপিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য পৃথক অনুলিপি সংযুক্ত করা হয়। হাইকমিশনের মাধ্যমে এসব অনুলিপি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে তুলে ধরা তিনটি মূল বিষয় ছিল— ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার জোর দাবি, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করা ও ১৩ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সেক্রেটারি আবু তালহা, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম নাসিম, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গাজী, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হাই সুফিয়ান, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি আবুল খায়ের, মিডিয়া ও পাবলিকেশন সেক্রেটারি জাফর ইমরান এবং সহকারী অর্থ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩৬ জুলাই আমাদের ইতিহাসের গর্ব, কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বর্তমান কিছু রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য প্রবাসীদের মনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
তারা বলেন, আজ আমরা যারা স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছি, তা এসেছে সেই সময়কার ছাত্র ও জনতার আত্মত্যাগের মাধ্যমে। তাদের বীরত্বকে স্মরণ ও সংরক্ষণে ‘জুলাই সনদ’ সময়ের দাবি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন— জুলাই আন্দোলন শুধু একটি তারিখ নয়, এটি একটি চেতনার নাম। তাই সরকারি পর্যায়ে এর স্বীকৃতি জরুরি। পাশাপাশি প্রবাসীরা যেন তাদের ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারেন, সে বিষয়েও এখনই কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।
এ সময় ‘জাস্টিস ফর জুলাই ইউকে’ আশাবাদ ব্যক্ত করে যে, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্মারকলিপিতে উত্থাপিত দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।