এক উইকেটে ১০০ রান থেকে ১০৫ এ যেতেই সাজঘরে ফেরেন আরো ছয় ব্যাটার। অর্থাৎ, ৫ রান যোগ করতে গিয়ে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচে এমন এক ব্যাটিং ধসের পর আর ফেরা হয়নি বাংলাদেশের।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দারুণ শুরুর পরেও বাংলাদেশ হেরেছে ৭৭ রানে।
কলম্বোতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেছেন আসালঙ্কা। জবাবে খেলতে নেমে ৩৫ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। ইমন নিজের প্রথম ম্যাচে ১৩ রান করেই অবশ্য আউট হ।। ভাঙে ২৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে তামিমকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুজনের জুটিতে জয়ের পথেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারেই দলীয় শত রান স্পর্শ করেছিল বাংলাদেশ। তবে হঠাৎ রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত। ২৬ বলে ২৩ রান করেছেন তিনি।
শান্ত ফেরার পরই ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৫ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের আরো ৬ ব্যাটার। লিটন দাস, তানজিদ তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, তানজিম সাকিব ও তাসকিন আহমেদদের সবাই ব্যর্থ ছিলেন। তাদের মধ্যে লিটন, মিরাজ ও তাসকিন ডাক খেয়েছেন।
জাকের আলি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখাও। তবে তা কেবলই হারের ব্যবধান কমিয়েছে।
এর আগে বোলিংয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। ২৯ রানেই তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। ৬০ রানের পার্টনারশিপ করেন কুশাল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা।
কুশাল ফিরে গেলেও দুর্দান্ত ছিলেন আসালাঙ্কা। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৫ম সেঞ্চুরি। সেটাই লঙ্কানদের এনে দেয় ২৪৪ রানের ভিত। যা পরে জয়ের জন্যেও যথেষ্ট হয়ে যায় তাদের জন্য।