ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছে। তাদের বয়স চার বছর থেকে ৫১ বছরের মধ্যে। বিবাহ অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য ৪৫ জনকে বহন করা বাসটি ৫০০ মিটার গভীর একটি গিরিখাদে পড়ে গেলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের পাউরি গারওয়াল জেলার সিমরিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা আরো জানায়, এ ঘটনায় রাতভর উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
বাসটি পাউরির হরিদ্বার থেকে কদাগাঁও যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ ঘটনা ঘঠে। এ দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উত্তরাখন্ড পুলিশ প্রধান অশোক কুমারের উদ্ধৃতি দিয়ে দি হিন্দুস্তান টাইম জানায়, এ ঘটনায় ‘২০ জনকে উদ্ধার এবং সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।’
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কুমার জগদান্দে জানান, সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধারকর্মীরা দড়ির সাহায্যে লাশগুলো টেনে তুলছেন।
এর আগে হরিদ্বার পুলিশ প্রধান স্বান্তান্ত্র কুমার সিং বলেছিলেন, বিয়ে বাড়ির লোকজনরা পাউরি গারওলের দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ জেলার লালধাং থেকে রওনা হয়েছিল।
রাজ্য দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর (এসডিআরএফ) কমান্ডান্ট মনিকান্ত মিশ্রা বলেন, মাত্র ছয়টি লাশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে আনা হয়েছে। বাকি লাশগুলো এনে রাস্তার পাশে রাখা হচ্ছে। উদ্ধার করা ২০ জনের মধ্যে দুই-তিন জন মারাত্মকভাবে আহত হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ দুর্ঘটনাকে হৃদয়বিদারক অভিহিত করেন এবং সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর টুইটার বার্তায় জানায়, ‘উত্তরাখন্ডের পাউরির এ বাস দুর্ঘটনা হৃদয়বিদারক। এই মর্মান্তিক সময়ে আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সকল সহায়তা দেওয়া হবে।’
উত্তরাখন্ড মুখ্যমন্ত্রী পাস্কার সিংধামী এ মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য সরকার তাদের পরিবারের পাশে রয়েছে।