ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় আরও আটজন নিহত হয়েছেন, যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক, তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
এটি ঘটে মঙ্গলবার রাতে, যখন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়—মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে লাখ লাখ মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে হাজির হয়।
রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ভক্তরা অন্ধকারে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক নদী সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে স্নান করতে যাচ্ছিলেন।
পদদলনের পর ধারণ করা ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, মৃতদেহ স্ট্রেচারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আর ভিড় থেকে বের হয়ে আসতে পারার জন্য লোকজন চেষ্টা করছে। এক জায়গায় মানুষজন তাদের মালপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে, কেউ আবার প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভক্তরা পদদলন থেকে বাঁচতে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করলে আবার একাধিক পদদলনের ঘটনা ঘটে। তারপর তারা অন্য একটি পথ খুঁজতে গিয়ে পন্টুন সেতুর কাছে পৌঁছায়, কিন্তু সেখানে কর্তৃপক্ষ সেতু বন্ধ করে রেখেছিল।
মুম্বাই থেকে আসা এক ভক্ত রাবিন জানান, “ভিড়ের মধ্যে অনেক মানুষ পড়ে গিয়েছিল এবং তাদের ওপর দিয়ে অন্যরা চলে যাচ্ছিল। বহু শিশু ও নারী চিৎকার করে সাহায্য চাচ্ছিল।”
র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএএফ) একটি বিশেষ ইউনিট দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উদ্ধারকাজ শুরু করে।
এ ধরনের পদদলন কুম্ভমেলায় অতীতে ঘটেছে। ২০১৩ সালের মহাকুম্ভ মেলায়ও একই দিনে পদদলনে ৩৬ জন নিহত হয়েছিল।
এ বছর ২৯ জানুয়ারি ছিল মৌনী অমাবস্যা, একটি শুভ তিথি, যেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে স্নান করলে পূর্ণ পুণ্য লাভ হয়। সূত্র: এএফপি