দিনের শুরুতেই টসে হারে ভারত। এরপরই স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। দাপুটে বোলিংয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই ভারত দিশেহারা অবস্থায় ছিলো। সবশেষে ২৪০ রানের মামুলি সংগ্রহ গুড়িয়ে দিয়ে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরের ফাইনালে ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে ৪২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় অজিরা। চাপ সামলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অবিস্মরণীয় এক সেঞ্চুরি হাঁকান ওপেনার ট্রাভিস হেড।
ভারতের সবচেয়ে বড় আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে শুবমান গিল (৪) বিদায় নিলে। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে ৩১ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রোহিত বিদায় নেন।
কিছুসময় বিরতি দিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারও ৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এরপর কোহলিকে সঙ্গ দেন লোকেশ রাহুল। তবে সেই জুটিও ভাঙে অজি দলপতি প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৩ বলে ৫৪ রান করেন কোহলি। লোকেশ রাহুল ১০৭ বলে ৬৬ রান করেন।
২৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৬ রানে ৩ বলে ৭ রান করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ক্রিজে আসা মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ট্রেভিস হেড। তবে দলীয় ৪৭ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
১৫ বলে ১৫ করে ফিরেন মার্শ আর ৯ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান স্টিভেন স্মিথ। এরপর ক্রিজে আসা মার্নাস লেবুশানেকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হেড। ধৈর্যশীলভাবেই ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি ফিফটি পূরণ করেন হেড। ফিফটির পর আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন লেবুশানে।
মারমুখি ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করেন হেড। এরপর ফিফটি পূরণ করেন লেবুশানে। ভারতীয় বোলারদের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে দলকে জয়ের পথ রাখেন এই দুই ব্যাটার। তবে জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে ১২০ বলে ১৩৭ রান করে আউট হন হেড।
এরপর ক্রিজে আসা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ বলে হাতে রেখে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।সিরাজের বলে পুল করে ডাবলস গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আর এতেই বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা অস্ট্রেলিয়া নিজেদের করে নেয়।