পাকিস্তানের হাতে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফরাসি সামরিক বাহিনী। এতে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে, তারা রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে ভারতের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে। এটা নিশ্চিত করা হলে প্রায় ২০ বছর আগে রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার শুরু হওয়ার পর এটাই হবে ভূপাতিত হওয়ার প্রথম ঘটনা।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দাবি, গত ৭ মে রাতে ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর জবাবে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে; যার মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান, রাশিয়ার তৈরি একটা মিগ-২৯ ও একটা এসইউ-৩০।
তবে ভারত এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের এই দাবি নিশ্চিতও করেনি কিংবা অস্বীকারও করেনি। ভারতীয় বিমান বাহিনী শুধু বলেছে, ‘ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের একটি অংশ’।
প্যারিসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র পাকিস্তানের দাবির গুরুত্ব স্বীকার করেন এবং বলেন, এ ব্যাপারে যেসব রিপোর্ট সামনে এসেছে তা যাচাই করার জন্য ফ্রান্স ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে।
প্যারিসে সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মুখপাত্র কর্নেল গুইলাম ভার্নেট বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং সরাসরি তথ্য সংগ্রহের জন্য ভারতের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ বজায় রাখছি।’
কর্নেল গুইলাম ভার্নেট রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার সত্যতা এখনও নিশ্চিত করেননি। তবে জোর দিয়ে বলেন, রাফাল যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা ও পরিচালনা ফরাসি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ আগ্রহের’ বিষয়।
২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত একটি বড় প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় ফ্রান্স থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনে ভারত। যুদ্ধবিমানগুলো ভারতের বিমান বাহিনীর শক্তি ও কৌশলগত প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি প্রধান উপাদান। যা নিয়ে দেশটির নেতারা গর্ব করে থাকেন। তবে কয়েকটি বিমান ভূপাতিত হওয়ার খবরে তা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।
ভারত এখনও রাফাল হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও ঘটনার পরপরই ফ্রান্সের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ভারতের অন্তত একটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। ফরাসি ওই কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, পাকিস্তান একাধিক রাফাল ভূপাতিত করেছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।