বিশ্বরাজনীতির ময়দানে আবারও আলোচনায় চীন-ভারত। ভারতের লাদাখের কিছু অংশ নিয়ে নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরি করেছে চীন।
চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত জিনজিয়াং প্রদেশে হি’আন এবং হেকাং নামে এ দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির ঘোষণা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। যার কিছু অংশ ভারতের ভূখণ্ডে পড়েছে। এসব অঞ্চল চীনে কাউন্টি হিসেবে পরিচিত।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এবং স্টেট কাউন্সিল নতুন দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল চীনের এ কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে জসওয়াল বলেন, ‘জিনজিয়াংয়ের হোতানে আমরা দুটি নতুন কাউন্টি তৈরির ঘোষণা দেখেছি। এসব কথিত কাউন্টির কিছু ভারতের লাদাখে পড়েছে। আমরা কখনো এই অঞ্চলে চীনের অবৈধ দখলদারিত্বকে মেনে নেইনি।’
এই অঞ্চলের ভৌগলিক অখণ্ডতা নিয়ে আমাদের যে অবস্থান, সেটি এসব কাউন্টি তৈরির মাধ্যমে পরিবর্তিত হবে না বলেও জানান তিনি।
জাসওয়ালের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, চীনের জোরপূর্বক দখলদারিত্বকেও বৈধতা দেবে না। আমরা কূটনৈতিক মাধ্যমে এটি গভীর নিন্দা জানিয়েছি।’
গেলো বছরের অক্টোবর মাসেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। ডেমচক ও দেপসাংয়ের মতো একাধিক এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় উভয়পক্ষ। কিন্তু সীমান্ত পরিস্থিতি যে শান্ত হয়নি এবার তার প্রমাণ মিলল চীনের নতুন পদক্ষেপে।