পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্তের চোরাই পথে অবৈধভাবে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার ঠেকাতে বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্তে সতর্কতা জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্প্রতিবার (৫ জুন) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত কয়েক বছরের মতো এবারও পশুর চামড়ার দাম কম। কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারছেন না। সরকারি দামেও সাড়া মেলেনি। সেজন্য বেশি মুনাফার আশায় ভারতে চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে রফিক মিয়া নামের এক কসাই জানান, ৫ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৫৫০-৬০০ এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগলের চামড়ার দাম প্রতি পিস ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫ মণ ওজনে গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১০০০ রুপি এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ১২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
বেনাপোল লতিফা ইয়াসিন এতিম খানার শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, এলাকার মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করে থাকেন। কিন্তু এবার খুবই কম চামড়ার দাম।
কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, চামড়া আমাদের দেশের সম্পদ। এই সম্পদ যাতে কোনো ভাবেই সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে পাচার না হয় এজন্য বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্তে এলাকায় ঈদের দিন সকাল থেকেই বাড়তি নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধীনে যেসব বিজিবির পোষ্ট ও ক্যাম্প রয়েছে সেগুলোতে এ বিষয়ে বাড়তি নজরদারি রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও যে কোনো ধরণের অপরাধ রুখতে বিজিবি সবসময় সীমান্তে সোচ্চার রয়েছে।
বেনাপোলের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার রোধে নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। যেমন- বেনাপোল, গাতীপাড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা, আন্দুলিয়া, হিজলী, মাসিলা, শাহজাতপুর, বর্ণি, দৌলতপুর, পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট,পাঁচভূলট ও রুদ্রপুর।