গত ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর নিয়ে তিনি বলেছেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। জ্বালানি সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ভারত।
বুধবার(১৪ সেপ্টেম্বর) ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এমনটা জানান। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন বিকেল ৪ টায় সংবাদ সম্মেলনটি সরাসরি সম্প্রচার করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে সম্মতি এসেছে। বাংলাদেশ ও ভারত সমৃদ্ধশালী দুই দেশে পরিণত হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতে খুব ভালো অভ্যর্থনা পেয়েছি। নিজে ভালো হলে সব ঠিক। আর যদি এদিক-ওদিক করেন তাহলেতো..।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী পেলাম সেটা আপেক্ষিক। যদি প্রশ্ন করি, কী দিলাম? বাংলাদেশের প্রায় চারপাশ দিয়েই কিন্তু ভারত। (ভারত থেকে) একেবারে শূন্য হাতে এসেছি তা নয়। এটা আসলে মনের ব্যাপার। যেমন বাংলাদেশে এত কাজ করার পরেও বিএনপি বলে কিছুই করিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই হয়। স্মারক সই শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেন। সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দেশে ফেরেন।