আল এমরান, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মোটর সাইকেল চোরাইচক্রের ৭ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলার সদর থানাধীন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড থেকে চোরাই চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। এ অভিযানে ৯ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ৷
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বেলা ২টা ৩০ মিনিটের সময় ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাদের আটক করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন–ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের মো. রাকিব (২৭), ৫নং ওয়ার্ডের মো. জিয়া (২৬), ৬নং ওয়ার্ডের সালাহ উদ্দিন (২৮), ৮নং ওয়ার্ডের জাকির পন্ডিত (৩৯), আলীনগর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের মো. সোহাগ, পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের মো. রাসেল (৪৩), পশ্চিম ইলিশা ৬নং ওয়ার্ডের মো. আজগর (২৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানের পর এ চক্রের প্রধান আসামী মো. জিয়াকে(২৬)গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ০৯ টি চোরাই মোটরসাইকেল ও চুরির যন্ত্রপাতিসহ একই চক্রের বাকি ০৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, মো. আব্বাস নামে এক ভুক্তভোগী একটি ‘ডিসকাভার’ কোম্পানির মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভোলা সদর মডেল থানায়। এরপরই জেলা পুলিশ সুপারের মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এ অনুযায়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদারের তদারকিতে ভোলা সদর থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ২৮ জুলাই মোটরসাইকেল চোরাই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা মোটরসাইকেল চোরাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তারা জানিয়েছে, চক্রের আরো সদস্যরা মিলে দীর্ঘদিন ধরেই মোটরসাইকেল চুরি করে নিজেদের হেফাজতে রেখে লোহার ডাইসের মাধ্যমে ইঞ্জিন নম্বর, চ্যাসিস নম্বর ঘষামাজা করে নতুন চ্যাসিস নম্বর ও ইঞ্জিন নম্বর তৈরি করে এবং গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে। পরবর্তীতে ভুয়া রেজিষ্ট্রেশন পেপার তৈরী করে কম দামে ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়িগুলো বিক্রয় করে।
ভোলা সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনায়েত হোসেন জানিয়েছেন, এ চোরাই চক্রের সাথে (বিআরটিএ) অফিসের কোন দালাল চক্র জড়িত আছে কিনা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।