এমরান, ভোলা; ভোলার মনপুরা উপজেলাধীন সাকুচিয়া ইউনিয়নের চর নিজাম গ্রাম তীরবর্তী মাঝ নদীতে হাজারো টন ভর্তি পাথর নিয়ে একটি জাহাজ আটকা পড়ে আছে। জাহাজটি গতকাল (১৩ জুলাই) বুধবার সকাল আনুমানিক ১১টা’র সময় নদীতে ভেসে এখানে এসে আটকা পড়ে। বর্তমানে জাহাজটি জনশূন্য অবস্থায় আটকা আছে।
গতকাল বুধবার এমন দৃশ্য দেখার পরে বিষয়টি সবার মাঝে চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়। উৎসুক জনতা এটিকে দেখতে ট্রলারযোগে উত্তাল ঢেউ অতিক্রম করে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে গিয়ে ভিড় জমান। এসময় তাতে হাজার হাজার টন পাথর, একটি ভেকু ও একটি পাথর ভাঙ্গা মেশিন দেখা যায়। এমন খবরে জনমনে একধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ শফিউল্লাহ সরকার প্রথমে এমন খবর শুনে ট্রলারযোগে দেখে এসে ফেস দ্যা পিপলকে জানান। জানা যায় জাহাজটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৫শ ও প্রস্থ আনুমানিক দেড়শো ফিটের মত হবে।
এ ব্যপারে জানতে সাকুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন ফেস দ্যা পিপলকে বলেন এমন একটি খবর আমিও শুনেছি, বর্তমানে আমি ঢাকায় থাকার কারনে বিষয়টি সুস্পষ্ট ভাবে বলতে পারছিনা তবে জানার চেষ্টা করছি।
সাকুচিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ নুরনবী বলেন এমন খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি এটি একটি পন্টুনের মত, চারপাশে স্টিলের উচু বাঁধ এবং ভিতরে ভরা পাথর, ভেকু ও দুইটি মেশিন রয়েছে। তবে মেশিনের অধিকাংশ পার্সগুলো মানুষ ইতিমধ্যে খুলে নিয়ে গেছে।
চরফ্যাশন উপজেলাধীন ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সালাম হাওলাদার আটকে থাকা জাহাজটি ঢালচর ইউনিয়নের অধীনে দাবি করে বলেন বিষয়টি আমিও লোকমুখে শুনেছি এবং খোঁজখবর নিয়ে তাৎক্ষণিক চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ নোমান রাহুল ও চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনির হোসেন সহ উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন আখন কে বিষয়টি অবগত করি। তারা আমাকে বলেছে জাহাজটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি করছে এবং উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ নোমান রাহুল ফেস দ্যা পিপলকে বলেন আমরা বিষয়টি অবগত আছি, আমি মনপুরা থানাকে ফোন করেছি, এবং এব্যপারে করনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
চরফ্যাশন উপজেলা দক্ষিণ আইচা থানা (শাখা) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন বিষয়টি আমরাও শুনেছি, নদীর উত্তাল ঢেউয়ের কারনে আমরা সেখানে যেতে পারিনি, যেহেতু নদীর মাঝখানে চরনিজামের পুর্ব পাশে তাই এটি মনপুরা থানার অধীনেই। এবং আমি মনপুরা থানার ওসিকে ফোন করেছি তিনি আমাকে বলেছেন এটি মনপুরার কোন এক পার্টির তবে কার তা জানিনা।
এ বিষয়ে মনপুরা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সায়েদ বলেন বিষয়টি আমরা জেনেছি, তবে এটি চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা (শাখার) অধীনে। তবে আমরা এটিকে খতিয়ে দেখতে চেষ্টা করছি আমাদের থেকে কতটুকু নিকটে, পরবর্তী বলা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায় এই পাথর বোঝাই জাহাজটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল কাবতান হেবি ইকুইপমেন্ট টিআর.কম এর (শারজাহ) (ইউএই) নাম লেখা। এতে দুইটি ফোন নাম্বার রয়েছে।