গ্রেপ্তারের পর এবার মডেল মেঘনা আলমের সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে দেশের সব ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সোমবার পাঠানো ওই চিঠিতে মেঘনার ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র, হিসাব খোলার আবেদনপত্র, ‘কেওয়াইসি’ তথ্য ও লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউ-এর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মেঘনা আলমের নামে বা তার মালিকানাধীন যেকোনো একাউন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য ও দলিল—যেমন হিসাব খোলার আবেদনপত্র, কেওয়াইসি (Know Your Customer) ফরম, হিসাব পরিচালনার ধরন, অর্থ লেনদেনের বিবরণ, এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নথি—চিঠি প্রাপ্তির তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউ-এর দপ্তরে পাঠাতে হবে।
এ ধরনের তলব সাধারণত তখনই করা হয় যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আর্থিক কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয় কিংবা তার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোনো মামলা বা অভিযোগ গৃহীত হয়।
এদিকে গত ৯ এপ্রিল— রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে, ১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল আলীম প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মেঘনা আলম, ব্যবসায়ী দেওয়ান সমির এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে মেঘনা, সমিরসহ কয়েকজন গোপনে বৈঠক করেন। সেখানে এক বিদেশি কূটনীতিকের কাছ থেকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবি এবং তা আদায়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কূটনীতিকের নাম এজাহারে প্রকাশ করা হয়নি।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের এমন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এর আগে, ১১ এপ্রিল ভাটারা থানায় দায়ের করা আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় দেওয়ান সমির গ্রেপ্তার হন।