রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে বিভিন্ন মসজিদে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ঢাকা মেইলের প্রতিবেদকের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী— জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়, সকাল ৭টায়। এতে অংশগ্রহণ করেন হাজারো মুসল্লি। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে— বায়তুল মোকাররমে আজ বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
সেই হিসেবে সকাল থেকেই ঈদের নামাজ আদায় করতে বায়তুল মোকাররমে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। শিশুদেরও নিয়ে আসা হয় অভিভাবকদের সঙ্গে। নামাজের পর খুৎবা পাঠ করা হয় এবং তারপর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
সকালে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়, বায়তুল মোকাররমের দ্বিতীয় জামাত। এরপর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান ৯টায় তৃতীয় জামাত পরিচালনা করেন, এবং মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী। চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হয়— সকাল ১০টায়, যার ইমামতি করেন মুশতাক আহমদ, এবং মুকাব্বির ছিলেন মো. আলাউদ্দীন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে, সকাল পৌনে ১১টায়, এতে ইমামতি করেন মুফতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, এবং মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মো. আক্তার মিয়া।
এদিকে, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ছিল মুসল্লিতে পরিপূর্ণ। জামাতের পর মোনাজাতে দেশের শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন— প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এদিন ঈদগাহ মাঠের মূল ফটকের সামনে, কদম ফোয়ারার সামনের সড়ক ও তোপখানা সড়কসহ আশপাশের এলাকা ছিল পূর্ণ। হাজারো মুসল্লি একত্রে ঈদুল ফিতরের জামাতে অংশগ্রহণ করেন, নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) জানায়, এবারের জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ৯০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।