গত ৩ মার্চ মহাকাশের উদ্দেশ্যে পৃথিবী ছেড়ে গিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নভোচারী “সুলতান আলনিয়াদি” । আগামী ৬ মাস নিজ মহাকাশযানেই অবস্থান করবেন এই মুসলিম নভোচারী। সেখানেই পার করবেন পবিত্র রমজান মাস।
স্থানভেদে গত বৃহস্পতি কিংবা শুক্রবার থেকে, সারাবিশ্বে পালিত হচছে পবিত্র রমজান মাস। মহিমান্বিত এই মাসে দিনের বেলায় পানাহার এবং ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থেকে, রোজা আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা আদায় করেন প্রতিটি মুসলমান।
এমন অবস্থায় মহাকাশে থেকে কিভাবে রোজা রাখবেন, তা আগেই জানিয়ে রেখেছেন সুলতান আলনিয়াদি।
গত ফেব্রুয়ারিতে মহাকাশে যাওয়ার আগে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এই কথা জানান তিনি।
তিনি জানিয়েছিলেন, যেহেতু তিনি মহাকাশে যাচ্ছেন, তাই তিনি এখন মুসাফির বা ভ্রমণকারী। আর একজন ভ্রমণকারী হিসেবে, তার জন্য রোজা রাখা ওয়াজিব নয়।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা আসলে চাইলে রোজা পালন নাও করতে পারি। এটা অপরিহার্য নয়। আপনি যদি ভালো বোধ না করেন, তবে আপনার জন্য রোজা ফরজ নয়।
যেহেতু মহাকাশের যে কোনো কিছু, মিশনকে ধ্বংস করতে পারে বা ক্রুদের স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করতে পারে, তাই ডিহাইড্রেশন ও অপুষ্টি এড়ানোর জন্য, আমাদের পর্যাপ্ত খাবারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে, সুলতান আল নিয়াদি জানিয়েছিলেন, ‘আমি চাইলে গ্রিনউইচ টাইম বা আর্থ টাইম অনুযায়ী রোজা রাখতে পারি। যা অফিসিয়াল স্পেস টাইম হিসেবে বিবেচিত হয়।
এছাড়াও বেশ কিছু বিজ্ঞ ইসলামিক চিন্তাবিদের মতে, এক্ষেত্রে তিনি যে দেশের নাগরিক, সেই দেশের সময় অনুযায়ীও, রোজা পালন করা যাবে।
অথবা যেকোন সূর্যোদয় অনুসরণ করে, পরবর্তী ১২ ঘন্টা হিসেব করেও, রোজা রাখার সুবিধা পাবেন তিনি।
সুলতান আল নিয়াদি বর্তমানে SpaceX Crew-6 মিশনের অধীনে, মহাকাশে অবস্থান করছেন। তাকে বহনকারী মহাকাশযানটি ,ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
যার অর্থ, তিনি প্রতি ২৪ ঘন্টায় ১৬ টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখেন। একারণে তিনি নিজের উপযুক্ত সময় মেনেই, রোজা পালন করতে পারবেন।