ইসলাম ধর্মের মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সা.) নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে।
গতকাল সোমবার (২০ জুন) পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় এ নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হয়। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্য সম্পর্কে প্রস্তাব পেশ করে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছি। কিন্তু সারা দেশে যেভাবে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা হয়েছে, তা আসলে মূল বিষয় কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা। ধর্মের নামে, বিজেপির এক মুখপাত্রের মন্তব্যের জেরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চলছে। এ ধরনের মন্তব্য করা এবং তাকে ঘিরে উসকানি দেওয়ার চেষ্টার বিরুদ্ধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা প্রতিবাদ করতে থাকেন এবং পরে ওয়াকআউট করেন।
এ সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাইদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা রাস্তা ও রেলপথ অবরোধ করবেন না, দয়া করে দোকান ভাংচুর করবেন না। বিজেপিকে কোনো সুবিধা দেবেন না। সময় এসেছে সংযম ও ধৈর্য দেখানোর।
মমতা জানান, রাজ্যে সহিংসতা হওয়ায় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু এই নারীকে (নূপুর শর্মা) এখনও গ্রেপ্তার করা হলো না কীভাবে?
তিনি বলেন, আমি জানি তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না। কলকাতা পুলিশের কাছে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি। আজ তার পুলিশের সামনে হাজির হওয়ার কথা ছিল।
জানা যায়, নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে কলকাতার নারকেলডাঙা থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এফআইআর অনুযায়ী, ২০ জুনের মধ্যে তাকে হাজিরা দিতে হতো। কিন্তু সোমবার সময়সীমা শেষ হলেও হাজিরা দিতে পৌঁছাননি নুপুর। কলকাতায় প্রাণের আশঙ্কা থাকার দাবি করে ৪ সপ্তাহ সময় চেয়েছেন তিনি।