সারাদেশের সব মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শনিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
আগামী ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
রোববার (২ অক্টোবর) মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং সোমবার (৩ অক্টোবর) মহাষ্টমী পূজা, কুমারী পূজা ও সন্ধি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মহানবমী পূজা এবং বুধবার (৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে মহালয়া উদযাপিত হয়।
ঢাকা মহানগরীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ, কলাবাগান, বনানী, শাখারি বাজার ও রমনা কালী মন্দিরে প্রধান পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়েছে।
এ বছর রাজধানীতে ২৪১টিসহ সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ জানায়, উৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
পুজা মণ্ডপে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনী আনসার, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
তিনি বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পূজা উদযাপন করে আসছে। দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসবই নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসবও।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য। আমাদের সামগ্রিক অগ্রগতিতে এই ঐতিহ্যকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি এখন একটি সার্বজনীন উৎসব।
তিনি বলেন, ‘অশুভ শক্তির বিনাশ এবং সত্য ও সুন্দরের আরাধনা শারদীয়া দুর্গোৎসবের মূল উদ্দেশ্য। দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দুসহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।’