ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন কুষ্টিয়ার বাসিন্দা রজনী খাতুন (৩৭)। তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের মেয়ে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুষ্টিয়াতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহত রজনীর বাবা বলেন, অন্যান্য দিনের সোমবার দুপুরে উত্তরা এলাকায় আমার নাতনিকে স্কুল থেকে আনতে জায় আমার মেয়ে। নাতনি ঝুমঝুম খাতুন (১২) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। যখন স্কুলে পৌঁছায় ঠিক তখনই ঘটে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা।
কাঁদতে কাঁদতে আব্দুল হামিদ বলছিলেন, আমার নাতনী বেঁচে গেলেও মেয়েটা আর বাচলো না।
নিহতের ভাই আশিক জানান, রজনী ও তার স্বামী জহিরুল ইসলাম ঢাকায় বসবাস করতেন। জহিরুলের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাদিপুর গ্রামে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রজনীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে গুরুতর আহত হলেও মেয়ে ঝুমঝুম প্রাণে বেঁচে যায় এবং বর্তমানে সে পরিবারের সঙ্গেই রয়েছে।
রজনীর মরদেহ সোমবার রাত ৩টার দিকে গাংনীর বাওট গ্রামে বাবার বাড়িতে পৌঁছায়। পরে তা কুষ্টিয়ার চর সাদিপুর গ্রামে নেওয়া হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হয়।