জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার (মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ) স্থাপন করা হলেও বর্তমানে তা ময়লা-আবর্জনা রাখার স্থানে পরিণত হয়েছে। ফলে নবজাতকের মায়েরা এখানে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে তো পারছেনই না, বরং কর্নারটি থেকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারী রোগী ও নবজাতকের জন্য বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষ চালু করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল মায়েরা যেন নির্বিঘ্নে, গোপনীয়তা বজায় রেখে নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। কিন্তু বর্তমানে তা অবহেলা ও অযত্নে পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগারে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, শুরুতে কেউ কেউ ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারটি ব্যবহার করলেও বর্তমানে তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যাক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন উদ্যোগ খুব ভালো ছিল। কিন্তু এখন সেখানে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখে কেউ আর যেতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, রোগীদের সুবিধার জন্য উদ্যোগ নিলেও তা বরং অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায়।
রাজিয়া সুলতানা নামের এক মা বলেন, মাতৃদুগ্ধ পান কক্ষটি জনস্বাস্থ্য ও মাতৃসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। অথচ কর্তৃপক্ষের অযত্নে এখন সেটি ময়লা ফেলার স্থানে পরিণত হয়েছে। তিনি দ্রুত কর্নারটি সংস্কার ও সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্রী তরুন কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দ্রুতই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারটি পরিষ্কার ও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মায়েরা যাতে নির্বিঘ্নে শিশুকে দুধ খাওয়াতে পারেন, সেজন্য শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সচেতন মহল দাবি করেন, শুধু কর্নার পরিষ্কার করলেই হবে না, এটি যেন নিয়মিত ব্যবহার উপযোগী থাকে সে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঠিক তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।