মাদারীপুরের শিবচরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৯ জন। দুর্ঘটনায় আহত নারীসহ ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তাদের মধ্যে ২ জনকে মৃত ঘোষণা করে ডাক্তার।
ঢামোে মৃত ২ জনের বয়স আনুমানিক ৬০ ও ২৬ বছর। তবে তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
এর মধ্যে ঢামেকে নিয়ে আসা আহতরা হলেন— বাসযাত্রী ফয়সাল আহমেদ (৩৬), আ. হামিম (৫০), বদরুদ্দোজা (৩০), পঙ্কজ কান্তিজ ঘোষ (৪০), ঝুমা (৩৪), বুলবুল (৫০), এনামুল (৪০)।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ জানান, এখন পর্যন্ত ৯ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ৭ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনাস্থলে থাকা শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ শিবচরে আছে এবং ঢাকা মেডিকেলে আরও ২ জন মারা গেছেন।’
ইমাদ পরিবহনের বাসটি আজ ভোর ৪টায় খুলনার ফুলতলা বাস কাউন্টার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটিতে চালক ও ২ হেলপারসহ মোট ৪৬ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং বাকী সবাই আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনার পেছনে ৩টি কারণ হতে পারে। সেগুলো হলো, বাসের চাকা ফেটে যেতে পারে, ভোর বেলার কারণে চালক ঘুমাতে পারেন এবং অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এদিকে ওই ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। আজ দুপুর ১টার দিকে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘তদন্ত কমিটিকে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
তদন্ত কমিটিতে আছেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বিআরটিএর কর্মকর্তা ও অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা।
ড. রহিমা খাতুন আরও জানান, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে মরদেহ দাফনের কাজে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।